সুরা মুলক
Life Hacks

সুরা মুলক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলতসহ

সূরা আল-মুলক (আরবি ভাষায়: الملك) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৭ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩০ এবং রূকুর সংখ্যা ২ এবং এই সুরাটি মেক্কিতে অবতীর্ণ হয়। সুরা মুলক মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য এবং আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে তাঁর শক্তি ও ক্ষমতার পরিচায়ক, যা পাঠকারীর মনকে শান্তি ও আশীর্বাদে পূর্ণ করে।

সুরা মুলক: বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ :

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
অর্থ: পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।


(১)
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: তিনি মহিমান্বিত, যাঁর হাতে সব রাজত্ব এবং তিনি সবকিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।


(২)
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
আল্লাযি খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়াতা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহসানু আমালা, ওয়া হুওয়াল আজিজুল গাফুর।
অর্থ: যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন, কে তোমাদের মধ্যে কাজের দিক থেকে উত্তম; আর তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


(৩)
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
আল্লাযি খালাকা সাব’আ সামাওয়াতিন তিবাকা, মা-তারা ফি খালকির রাহমানি মিন তাফাউত। ফারজি’ইল বাসার, হাল-তারা মিন ফুতুর।
অর্থ: যিনি সাতটি আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো ত্রুটি দেখতে পাবে না। আবারও তাকাও, কোনো ফাটল দেখতে পাও কি?


(৪)
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
ছুম্মারজি’ইল বাসারা কাররাতাইনি, ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খাসিয়াও ওয়া হুওয়া হাসির।
অর্থ: এরপর বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে লজ্জিত অবস্থায় তোমার কাছে ফিরে আসবে।


(৫)
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
ওয়ালাকাদ জাইয়ান্নাস সামা’আদ্দুনিয়া বিমাসাবীহা ওয়া জা’আলনাহা রুজুমাল্লিশশায়াতিন, ওয়া আ’তাদনা লাহুম আজাবাস-সাইর।
অর্থ: আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দিয়ে সজ্জিত করেছি এবং একে শয়তানদের জন্য গুলিবর্ষণের মাধ্যম করেছি। আর আমি তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি।


(৬)
وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
ওয়ালিল্লাযিনা কাফারু বিরাব্বিহিম আজাবু জাহান্নামা, ওয়া বিইসাল মাসির।
অর্থ: যারা তাদের রবকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। আর সেটা খুবই ভয়ানক পরিণাম।


(৭)
إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ
ইযাউলকুফিহা সামি’উ লাহা শাহিকাও ওয়াহিয়া তাফুর।
অর্থ: যখন তাদের সেখানে নিক্ষেপ করা হবে, তারা তার গর্জন শুনতে পাবে এবং এটি উত্তাল হবে।


(৮)
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ ۖ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
তাকাদু তামাইয়াযু মিনাল গাইযি, কুল্লামা উলকিয়া ফিহা ফাওজুন, সা’আলাহুম খাজানাতুহা আলাম ইয়াতিকুম নাযির।
অর্থ: এটি ক্রোধে প্রায় ফেটে পড়বে। যখনই সেখানে একটি দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তার রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের কাছে কি কোনো সতর্ককারী আসেনি?’


(৯)
قَالُوا بَلَىٰ قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
কালু বালা কাদ জা’আনা নাযিরুন, ফাকাযযাবনা ওয়া কুলনা মা নায্জালাল্লাহু মিন শাইয়িন, ইন আন্তুম ইল্লা ফি দালালিন কাবির।
অর্থ: তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল। কিন্তু আমরা তাকে মিথ্যাজ্ঞান করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা গুরুতর ভ্রান্তিতে রয়েছ।’


(১০)
وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
ওয়া কালু লাও কুন্না নাসমাউ আও না’কিলু, মা কুন্না ফি আসহাবিস সাইর।
অর্থ: তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম বা বুঝতাম, তবে জ্বলন্ত আগুনের সঙ্গীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।’


(১১)
فَاعْتَرَفُوا بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ
ফা’তারাফু বিযাম্বিহিম ফাসুহক্বাল্লি আসহাবিস সাইর।
অর্থ: তারা তখন নিজেদের দোষ স্বীকার করবে। ফলে জাহান্নামের অধিবাসীরা ধ্বংস হোক।


(১২)
إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
ইন্নাল্লাযিনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি, লাহুম মাগফিরাতুন ওয়া আজরুন কাবির।
অর্থ: যারা তাদের রবকে অদেখা অবস্থায় ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।


(১৩)
وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ ۖ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
ওয়া আসিররু কাওলাকুম আও ইজহারু বিহি, ইন্নাহু আলিমুম বিযাতিস সুদুর।
অর্থ: তোমরা কথাকে গোপন করো বা প্রকাশ করো, নিশ্চয় তিনি অন্তরের সব খবর জানেন।


(১৪)
أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
আলা ইয়ালামু মান খালাক, ওয়া হুওয়াল লাতিফুল খাবির।
অর্থ: যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি তা জানেন না? তিনি সূক্ষ্মজ্ঞানী, সব খবর রাখেন।


(১৫)
هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِن رِّزْقِهِ ۖ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
হুওয়াল্লাজি জা’আলা লাকুমুল আরদা যালুলান, ফামশু ফি মানাকিবিহা, ওয়া কুলু মির রিজকিহি, ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
অর্থ: তিনি সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং তার বুক চিরে চলাচল কর এবং তার দেয়া জীবিকা ভোগ কর। আর তার কাছেই পুনরুত্থান।


(১৬)
أَأَمِنتُم مَّن فِي السَّمَاءِ أَن يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ
আ আমিনতুম মান ফিস সামাই, আইঁ ইয়াখসিফা বিকুমুল আরদা, ফাইযা হিয়া তামুর।
অর্থ: তোমরা কি তার থেকে নিশ্চিন্ত যে, যিনি আকাশে আছেন, তিনি পৃথিবীকে তোমাদের নিচে ধ্বংস করবেন না? হঠাৎ তা কেঁপে উঠবে।


(১৭)
أَمْ أَمِنتُم مَّن فِي السَّمَاءِ أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ۖ فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
আম আমিনতুম মান ফিস সামাই, আইঁ ইউরসিলা আলাইকুম হাসিবা, ফাসাতা’লামুনা কাইফা নাযির।
অর্থ: কিংবা তোমরা কি তার থেকে নিশ্চিন্ত যে, যিনি আকাশে আছেন, তিনি তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে আমার সতর্কবার্তার ফল।


(১৮)
وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
ওয়ালাকাদ কাজযাবাল্লাযিনা মিন কাবলিহিম, ফাকাইফা কানান নাকির।
অর্থ: তাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। তবে আমার শাস্তি কেমন হয়েছিল তা দেখো।


(১৯)
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ ۚ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَٰنُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফাতিন, ওয়া ইয়াক্ববিদন। মা ইউমসিকুহুন্না ইল্লার রাহমান। ইন্নাহু বিকুল্লি শাইয়িন বাসির।
অর্থ: তারা কি আকাশে পাখিদের দিকে দেখে না? তারা তাদের ডানা বিস্তার করে এবং সংকুচিত করে। দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদের ধরে রাখতে পারে না। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছু দেখেন।


(২০)
أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي هُوَ جُندٌ لَّكُمْ يَنصُرُكُم مِّن دُونِ الرَّحْمَٰنِ ۚ إِنِ الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ
আম্মান হাজাল্লাজি হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দুনির রাহমান। ইনিল কাফিরুনা ইল্লা ফি গুরুর।
অর্থ: তোমাদের জন্য দয়াময় আল্লাহ ছাড়া আর কে সৈন্য হতে পারে যে তোমাদের সাহায্য করবে? অবিশ্বাসীরা তো আত্মপ্রবঞ্চনায় রয়েছে।


(২১)
أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
আম্মান হাজাল্লাজি ইয়ারজুকুকুম ইন আমসাকা রিজকাহু। বাল্লাজ্জু ফি উতুউঁ ওয়া নুফুর।
অর্থ: তিনি যদি তার জীবিকা বন্ধ করে দেন, তবে আর কে তোমাদের রিজিক দেবে? কিন্তু তারা অহংকার ও ঘৃণায় লিপ্ত থাকে।


(২২)
أَفَمَن يَمْشِي مُكِبًّا عَلَىٰ وَجْهِهِ أَهْدَىٰ أَمَّن يَمْشِي سَوِيًّا عَلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
আফামাইঁ ইয়ামশি মুকিব্বান আলা ওয়াজহিহি আহদা, আম্মাইঁ ইয়ামশি সাভিয়্যাঁ আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।
অর্থ: যে ব্যক্তি মুখথুবড়ে পড়ে পথ চলে, সে কি বেশি সৎপথে? না যে ব্যক্তি সোজাসুজি চলে সঠিক পথে?


(২৩)
قُلْ هُوَ الَّذِي أَنشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۚ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
কুল হুওয়াল্লাজি আনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুস সাম‘আ ওয়াল আবসারা ওয়াল আফইদা। কালিলাম মা তাশকুরুন।
অর্থ: বল, তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, চক্ষু ও হৃদয়। কিন্তু তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।


(২৪)
قُلْ هُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
কুল হুওয়াল্লাজি যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারুন।
অর্থ: বল, তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার কাছেই তোমাদের একত্রিত করা হবে।


(২৫)
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
ওয়া ইয়াকুলুনা মাতাহাজাল ওয়াদু ইন কুন্তুম সাদিকিন।
অর্থ: তারা বলে, ‘এই প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’


(২৬)
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
কুল ইন্নামাল ‘ইলমু ‘ইনদাল্লাহি, ওয়া ইন্নামা আনা নাযিরুম মুবিন।
অর্থ: বল, ‘এই জ্ঞান আল্লাহর কাছেই রয়েছে এবং আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।’


(২৭)
فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تَدَّعُونَ
ফালাম্মা রা’উহু ঝুলফাতান সিআত উজুহুল্লাজিনা কাফারু, ওয়া কিলা হাজাল্লাজি কুন্তুম বিহি তাদ্দাউন।
অর্থ: যখন তারা তা কাছে আসতে দেখবে, তখন অবিশ্বাসীদের মুখ বিষন্ন হবে এবং বলা হবে, ‘এটাই সেই যা তোমরা দাবি করতে।’


(২৮)
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَنْ مَعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَنْ يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লাহু ওয়ামাম্মা‘ইয়া আও রহিমানা। ফামাইঁ যুবিরুল কাফিরিনা মিন ‘আযাবিন আলিম।
অর্থ: বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ যদি আমাকে ও আমার সঙ্গীদের ধ্বংস করেন অথবা দয়া করেন, তবে কে অবিশ্বাসীদেরকে মর্মান্তিক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’


(২৯)
قُلْ هُوَ الرَّحْمَٰنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
কুল হুওয়ার রাহমানু, আমান্না বিহি ওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা। ফাসাতা‘লামুনা মান হুওয়া ফি দালালিম মুবিন।
অর্থ: বল, ‘তিনি দয়াময়। আমরা তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং তাঁর ওপর ভরসা রেখেছি। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে, কে সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।’


(৩০)
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَأْتِيكُمْ بِمَاءٍ مَعِينٍ
কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান, ফামাইঁ ইয়াতিকুম বিমাইম মা’ইন।
অর্থ: বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি তোমাদের পানি মাটির গভীরে চলে যায়, তবে কে তোমাদের জন্য প্রবাহিত পানি এনে দেবে?’

সুরা মুলক সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর (ফজিলতসহ)

প্রশ্ন ১: সুরা মুলক কী?

উত্তর: সুরা মূলক হলো কোরআনের ৬৭তম সুরা। এটি মেক্কিতে অবতীর্ণ হয় এবং ৩০টি আয়াত নিয়ে গঠিত। এই সুরাটি আল্লাহর একত্ব, তাঁর শক্তি ও মহিমা, এবং মানুষের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে।

প্রশ্ন ২: সুরা মুলকের নাম ‘মূলক’ কেন রাখা হয়েছে?

উত্তর: ‘মূলক’ শব্দের অর্থ হলো ‘রাজ্য’ বা ‘শাসন’। সুরার নামটি এই কারণে রাখা হয়েছে যে, এতে আল্লাহর সর্বাধিক ক্ষমতা ও তাঁর শাসনের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এটি পৃথিবী ও আকাশের রাজত্বের মালিকানা আল্লাহর উপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করে।

প্রশ্ন ৩: সুরা মুলকের মূল বিষয় কী?

উত্তর: সুরা মূলকের মূল বিষয় হলো আল্লাহর একত্ব ও তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা। এটি মানুষের আত্মার অবস্থা, আল্লাহর শাস্তি ও পুরস্কার, পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে।

প্রশ্ন ৪: সুরা মুলক পাঠের উপকারিতা/ফজিলত কী?

উত্তর: সুরা মূলক নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশ্বাস পাওয়া যায়। এটি মনকে শান্ত রাখে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতার উপর বিশ্বাস বৃদ্ধি করে। অনেক হাদীসে বলা হয়েছে যে, সুরা মূলক মৃত্যু পরবর্তী জীবনে মুমিনের জন্য এক ধরনের শাফায়াতকারী হবে। সুরা মূলক পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মূলক পাঠ করবে সে যাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মূলক পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে কবরের থেকে বাঁচাবেন।

প্রশ্ন ৫: সুরা মুলক কখন পাঠ করা উচিৎ?

উত্তর: সুরা মূলক রাতে ঘুমানোর আগে পাঠ করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে যে, যারা রাতে সুরা মূলক পাঠ করে, তাদের জন্য আল্লাহ বিশেষ বরকত ও নিরাপত্তা দান করেন।

প্রশ্ন ৬: সুরা মুলকের আয়াতগুলোর বিশেষ গুরুত্ব কী?

উত্তর: সুরা মূলকের আয়াতগুলিতে পৃথিবীর সৃষ্টি, আল্লাহর একত্ব, এবং তাঁর ক্ষমতার নিদর্শন বর্ণনা করা হয়েছে। এটি মানুষকে তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন করে এবং আল্লাহর দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে।

প্রশ্ন ৭: সুরা মুলক কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, সুরা মূলক দৈনন্দিন জীবনে মানসিক শান্তি, আত্মবিশ্বাস, এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও প্রেম বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করার শক্তি ও সাহস প্রদান করে।

Read: “The Power of Positive Thinking” by Norman Vincent Peale.

Install Rits Browser & Earn Reward Points.

Leave a Reply